গীতার শিক্ষা ব্যক্তির মানসিক শান্তি কেমনভাবে বাড়ায়
গীতার শিক্ষা ব্যক্তির মানসিক শান্তি কেমনভাবে বাড়ায়
ভগবদ্গীতার শিক্ষা ব্যক্তির মানসিক শান্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর।
কীভাবে গীতার শিক্ষা মানসিক শান্তি বাড়ায়:
কর্মফল থেকে অনাসক্ত থাকা:
গীতা শিখায় যে, আমাদের কাজ করতে হবে কিন্তু কাজের ফলাফলের বিষয়ে আসক্তি বা উদ্বেগ রাখলে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। কাজের ফল ঈশ্বরের ওপর ছেড়ে দিলে মন শান্ত থাকে।
("কর্মণ্যেবাধিকারস্তে, মা ফলেষু কদাচন")মনের স্থিতি ও ভারসাম্য বজায় রাখা:
গীতায় বলা হয়েছে আশ্চর্য হলেও জীবনের সুখ-দুঃখ, লাভ-ক্ষতি, জয়-পরাজয় সবকিছু সমানভাবে গ্রহণ করতে হবে। এভাবেই মন অস্থিরতা থেকে মুক্ত হয়, যা শান্তির মূল চাবিকাঠি।আত্মনিয়ন্ত্রণ ও যোগব্যায়াম:
ধ্যান ও নিয়মিত যোগ সাধনার মাধ্যমে মনকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, যা নেতিবাচক ভাবনা ও আবেগ কমিয়ে দেয়। এই অভ্যাস মানসিক শান্তি বাড়াতে সহায়ক।বিশ্বাস ও আত্মসমর্পণ:
নিজের সব চিন্তা ও দুশ্চিন্তা ঈশ্বরের হাতে ছেড়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করাও ঘরোয়া শান্তির অন্যতম কারণ। এই আত্মসমর্পণ অস্থিরতা ও উদ্বেগ কমান।রাগ, অহংকার ও হিংসা পরিহার:
গীতায় বারবার বলা হয়েছে যে রাগ ও অহংকার মনকে অস্থির করে এবং শান্তি নষ্ট করে। এগুলো পরিহার করলে শ্রীযুক্ত মন ও মনের অস্থিরতা সহজেই চলে যায়।সহানুভূতি ও মমতা বৃদ্ধি:
অন্যের প্রতি করুণা ও দয়া প্রকাশের মাধ্যমে হৃদয় প্রশান্ত হয় এবং নিজেকে শান্ত রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।নিজ পরিচালনার দক্ষতা:
নিজের চিন্তা-ভাবনা নিয়ন্ত্রণ করে, অহেতুক উদ্বেগ ও অতিরিক্ত চিন্তার জালে পড়া বন্ধ করা গীতায় শিখানো হয়েছে, যা মানসিক শান্তি বাড়ায়।
সারমর্ম:
গীতার শিক্ষা মানসিক শান্তি আনতে সাহায্য করে কারণ এটি মনকে স্থিতিশীল রাখার গুণাবলী দেয়, অহেতুক উদ্বেগ পরিহার করায় এবং আত্ম-সমর্পণের মাধ্যমে আবেগের ভারসাম্য রক্ষার পথ নির্দেশ করে। এর ফলে জীবনের কঠিন সময়েও ব্যক্তি ধৈর্য ধরে শান্তভাবে জীবনে এগিয়ে যেতে পারে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন