কৃতজ্ঞতা প্রকাশে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য নিচের কিছু সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন:

 কৃতজ্ঞতা প্রকাশে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য নিচের কিছু সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন:

১. দৈনন্দিন জীবনে ছোট ছোট কৃতজ্ঞতার কথা ভাবা

প্রতিদিন সকালে বা রাতে নিজের জীবনের ছোট-বড় সব ইতিবাচক দিকগুলোর জন্য অন্তরে ধন্যবাদ জানাতে শুরু করুন। যেমন: স্বাস্থ্য, পরিবার, বন্ধু, কাজ বা কোনো সুন্দর মুহূর্ত।

২. কৃতজ্ঞতার ডায়েরি লেখা

প্রতিদিন কমপক্ষে তিনটি জিনিস যা আপনাকে ধন্য করে সেটা লিখুন। এই অভ্যাস ধীরে ধীরে মনকে ইতিবাচক ও কৃতজ্ঞ হয়ে উঠতে সাহায্য করে।

৩. ধ্যান ও মনন প্র্যাকটিসে কৃতজ্ঞতা সংযোজিত করা

ধ্যানের সময় সম্মান, ভালোবাসা ও দয়ালু ভাব নিয়ে নিজের জীবন, আশেপাশ ও ব্রহ্মাণ্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা অনুভব করুন।

৪. অন্যকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা

পরিবার, বন্ধু বা সহকর্মীদের ছোট ছোট সাহায্য বা ভাল কাজের জন্য সরাসরি “আপনাকে ধন্যবাদ” বলা বা তাদের প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার মানসিকতা প্রকাশ করা।

৫. নিজেকে এবং জীবনের চ্যালেঞ্জকেও কৃতজ্ঞতার চোখে দেখা

জীবনের ভাল ও মন্দ দুই অবস্থাকেই কৃতজ্ঞতার মাধ্যমে গ্রহণ করুন; কারণ প্রতিটি অভিজ্ঞতা আপনাকে ভালো কিছু শেখায়, আত্মবিকাশে সাহায্য করে।

৬. অহংকার ত্যাগ ও সাবলীল বিনীত হওয়া

কৃতজ্ঞতা গড়ে ওঠে তখন যখন নিজের অহংকার কম হয়, বিনীত মনোভাব আসে; ফলে আপনার হৃদয় থেকে স্বাভাবিকভাবেই ধন্যবাদ ও প্রশংসার কথা বের হয়।


এসব অভ্যাস ধীরে ধীরে আপনার জীবনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অভ্যাস গড়ে তুলবে এবং তা আপনার মানসিক শান্তি, সম্পর্ক ও আত্মিক উন্নতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। ভগবদ্গীতাও যেমন বলেছে, নিঃস্বার্থ মন ও বিশ্বাস রেখে কাজ করার মধ্যে সত্যিকারের কৃতজ্ঞতার শুভ সূচনা থাকে। নিজের জীবনে ছোট ছোট মুহূর্ত থেকেও কৃতজ্ঞ হওয়ার মনোভাব রাখুন, সেটাই জীবনের বদলের অন্যতম মূল উপায়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

📿 শ্রীকৃষ্ণের ৩০টি অনুপ্রেরণামূলক বাণী (বাংলায় সংক্ষিপ্ত)

📜 শ্রীমদ্ভগবদগীতার অমূল্য বাণী 📜

কিভাবে গীতার শ্লোক মনোভাবের উন্নতি ঘটায়